জুলাই 8, 2011

আমার এন্ড্রয়েড: সমস্যা সমূহ!

নতুন ফোনে ইন্টারনেট, এমএমএস ইত্যাদি কনফিগার করার পর সবকিছু ভালই চলছিল। তারপরও এই ফোনে যেসব সমস্যায় পড়েছি সেগলো সবাইকে জানানো দরকার 🙂 কেউ জেনে-শুনে কিনেলে পরে আর আপসোস করতে হবে না।

১. ব্যটারি সমস্যা! প্রথমেই এই সমস্যার কথা বলতে হয়। অন্য কোনো সম্যসা বুঝে উঠার আগেই এটা ধরা পরবে। আমার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ চার্জকরা ব্যাটারি ৫/৬ ঘন্টার বেশি দীর্ঘস্থায়ী হত না। এটার অবশ্য অনেক গুলো কারণ আছে যেমন –

  • নতুন ফোন কেনার পর স্বাভাবিকভাবেই একটু বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বেশি ব্যাবহারের জন্য তো একটু বেশি ব্যটারি নষ্ট হওয়াই স্বাভাবিক
  • স্মার্টফোন গুলো আসলেই একটু বেশি ব্যটারি খাদক! সব কোম্পানির স্মার্টফোনই কম-বেশি এই সমস্যা থাকে।

২. কল ওয়েটিং নটিফিকেশন! এইচটিসি ডিজায়ারে আউটগোইং কল ওয়েটিং নটিফিকেশনের ব্যবস্থা নাই। আসলে গুগলের মূল এন্ড্রয়েড অপেরেটিং সিস্টেমেই এই ফিচার নাই। শুনেছি সামস্যাং গ্যালাক্সি এস এ নাকি এইটা আছে। তবে ডিজায়ারে ইনকামিং কল ওয়েটিং নটিফিকেশনের ব্যবস্থা আছে :)। কথা বলতে থাকা অবস্থায় কেউ কল করলে ডিজায়ার নটিফাই করতে পারে কিন্তু কাউকে কল করলে সে যদি অন্য কোনো কল এ থাকে তাহলে ডিজায়ার “ওয়েটিং” নটিফাই করতে পারে না।

৩। কল ফরওয়ার্ডিং নটিফিকেশন! এইচটিসি ডিজায়ারে কল ফরওয়ার্ডিং (ইনকামিং/আউটগোইং) নটিফিকেশনের ব্যবস্থা নাই:( কাউকে কল করলে তার মোবাইল যদি ফরওয়ার্ডিং/ডায়ভারট‍ এক্টিভেট থাকে তাহলে কলিং পার্টি ফরওয়ার্ডিং নটিফিকেশন পায় না। একই ভাবে ফরওয়ার্ডিং ইনকামিং কলের ক্ষেত্রেও নটিফিকেশন পাওয়া যায় না।

জুলাই 7, 2011

আমার এন্ড্রয়েড: মাল্টিমিডিয়া মেসেজিং সার্ভিস (এমএমএস)

ফোনে জিপি ইন্টারনেটে যত সহজে কনফিগার করতে পেরেছিলাম, এমএমএস অত সহজে করতে পারি নাই। এমএমএস  কনফিগার করতে গিয়ে অনেকেই আমার মত ঝামেলায় পড়েছে বলে শুনেছি। এমএমএস এর জন্য বিশেষ ভালু সেট করতে হয়। এটা আমার বস করে দিয়েছিলেন। ম্যানুয়ালি এমএমএস কনফিগারেশনের সময় টিপিক্যাল ভ্যালু গুলোর সাথে বিশেষ ভাবে যেটা খেয়াল করতে হবে সেটি হল “APN type” এটার ভ্যালু দিতে হবে “mms” সাথে সাথে gpinternet এর “APN type” ভ্যালু “default” থাকতে হবে। অন্য কোনভাবেও হতে পারে কিন্তু আমি অন্য কোনভাবে করতে পারি নাই।

এখানে এমএমএস (গ্রামীণফোন) কনফিগার করার পদ্ধতি দেয়া হল-

গ্রামীণফোন এমএমএস:
Menu (Physical button)
-> Wireless & Networks
-> Mobile networks
-> Access Point Names
Menu (Physical button)
->New APN

এখানে এমএমএস এর জন্য নিম্নোক্ত প্যারামিটারগুলোর ভেলু দিতে হবে-
Name: GP-MMS (যেকোনো নাম দেয়া যেতে পারে)
APN: gpmms (অবিকল এটাই হতে হবে :) )
MMSC: http://mms.gpsurf.net/servlets/mms
MMS proxy: 10.128.1.2
MMS port: 8080
APN type: mms

এভাবে কনফিগার করলে এমএমএস কাজ করবে ইনশাল্লাহ।

জুলাই 3, 2011

আমার এন্ড্রয়েড: ইন্টারনেট সংযোগ

ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ে কোনো সমস্যায় পড়তে হই নাই। ফোন কেনার খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ইন্টারনেট সংযোগ করতে সমর্থ হই।

গ্রামীণফোন ইন্টারনেট:
ইন্টারনেটে সংযোগের জন্য ম্যানুয়ালি এপিএন সেটিংস করতে হয়েছিল। অন্যান্য সেটের মত স্মার্টফোনে অপারেটরের অটোমেটিক সেটিং কাজ করে না। খুব সহজেই নিম্নোক্তভাবে কাজটি করেছিলাম –
Menu (Physical button)
-> Wireless & Networks
-> Mobile networks
-> Access Point Names
Menu (Physical button)
->New APN
এখানে অনেকগুলো প্যারামিটারের একটা লিস্ট আসে – যেখানে নিম্নোক্ত প্যারামিটারগুলোর ভেলু দিয়েছিলাম
Name: GP (যেকোনো নাম দেয়া যেতে পারে)
APN: gpinternet (অবিকল এটাই হতে হবে 🙂 )
APN type: default (এটা ইন্টারনেট এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ না তবে MMS এর জন্য এটা লাগবেই)

ওয়াই-ফাই দিয়ে ইন্টারনেট:
বাসাতে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক করা ছিল। তাই ল্যাপটপে যেভাবে ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট সংযোগ করতাম সেভাবেই WiFi Setting এ গিয়ে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক সেলেক্ট করে পাসওয়ার্ড দিতেই ইন্টারনেট সংযোগ হয়ে গেল। এটা একদম সোজা। খুবই খুশি হয়েছিলাম এই ভেবে যে ওয়াই-ফাই দিয়ে অফিসে খুব ভালোভাবেই ইন্টারনেটে যুক্ত থাকা যাবে। 🙂

কিন্তু, পরদিন অফিসে গিয়ে এন্ড্রয়েডের আসল সমসসা ধরা পরল 😦
অফিসের ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ইন্টারনেট সংযোগ পেতে হলে প্রক্সি সেটিং করতে হয়। এখন অবাক হবার পালা। অনেক খুজাখুজি করেও আমার প্রিয় এন্ড্রয়েড ফোনে প্রক্সি সেটিং খুঁজে পেলাম না। গুগলিং করে জানতে পারলাম এইটা তারা (গুগল) তাদের অপেরেটিং সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করে নাই।

৩য় পক্ষের কিছু অ্যাপ্লিকেশন মার্কেটে পাওয়া যায়। কিন্তু, আমি এখনো পর্যন্ত ঐসব অ্যাপ্ দিয়ে প্রক্সি সেট করতে পারি নাই। মিউই (MIUI) নামক ১টা কাস্টম রমে ডিফল্টভাবেই প্রক্সি সেটিং ফিচারটি  পেয়েছিলাম এবং ওটা ভালোমত কাজ করছিল।

জুলাই 2, 2011

একটি এন্ড্রয়েড আমার হল (এইচটিসি ডিজায়ার)

ফেব্রুয়ারী ৪, ২০১১
আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম এইচটিসি ডিজায়ারই কিনব।বসুন্ধরা সিটিতে অনেক খুজলাম তাইওয়ানের এইচটিসি ডিজায়ার পেলাম না। সব দোকানেই মেইড ইন চায়না। পরে ইস্টার্ন প্লাজা তে গেলাম এবং তাইওয়ানের এইচটিসি ডিজায়ার কিনে বাসায় আসলাম। বাসায় এসেই চার্জ দিলাম। ফোন আর বক্সটা হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করতেই বুঝতে পারলাম আমাকে মেমরি কার্ড দেওয়া হয় নাই। প্রথম হোচট খেলাম। 😦

কি আর করা। নকিয়া ৫৮০০ এর ৮ গিগাবাইটের মেমরি কার্ড ডিজায়ারে লাগালাম। স্টার্টআপ এ টি-মোবাইল এর লোগো দেখতে পেলাম। ১ম বার ফোন অন করার সময় খেয়াল করি নাই। এইবার ২য় হোচট খেলাম। তাইওয়ানের সেট কিনতে গিয়ে টি-মোবাইলের ব্রান্ডেড সেট কিনে আনলাম।:( মনে করেছিলাম এই ব্রান্ডেড সেট দিয়ে কিছুই করা যাবেনা। এই সেটে যে সবকিছুই লক করা থাকবে এটা নিয়ে খুব বেশি সন্দেহ ছিলো না। পরে অবশ্য আস্তে আস্তে ধারণা পাল্টে গিয়েছিলো।

প্রথমেই আমার ফোনের যেগুলো ভালো লাগলো –
– কেপাসিটিভ টাচ স্ক্রীন (আগের ফোনে রেসিসটিভ টাচ স্ক্রীন ছিল)
– মাল্টিপল (৭) হোম স্ক্রীন
– ইন্টারনেট ব্রাউজার
– ইমেল ক্লায়েন্ট
– ওয়েদার উইজেট

এন্ড্রয়েড সম্পর্কে আগেই একটু ধারণা থাকলেও কেনার পরই আগের ফোনের সাথে এর পার্থক্য বুঝতে পারলাম। সবকিছু খুব সুন্দর আর স্মুথলী চলছিলো। তবে এটার হার্ডওয়্যারও ভালো। তাই পারফরমেন্স ভাল হওয়াটাও স্বাভাবিক।

আমার এইচটিসি ডিজায়ার-
##হার্ডওয়্যার##
প্রসেসসর: ১ গিগাহার্টস
র্যাম: ৫৭৬ মেগাবাইট
ক্যামেরা: মেগা পিক্ষেল
এজ, জিপিআরএস, ৩জি, ব্লুটুথ, ওয়ান ইত্যাদি সবই আছে।

##সফটওয়্যার##
Android version: 2.2 (Froyo)
Baseband version: 32.49.00.32U_5.11.05.27
Build Number: 2.12.110.4 …

[নোট: এই ফোন নিয়ে আমার পরবর্তী কার্যকলাপ পরের পোস্ট গুলোতে লিখব]

ফেব্রুয়ারি 14, 2011

Hello world!

Welcome to WordPress.com. This is your first post. Edit or delete it and start blogging!